বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীতে ৪টি অত্যাধুনিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারস্পেটোর জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এই জলযান নিজের অবস্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এতে দু’জন মুমূর্ষু রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজিবি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবি’র আধুনিকায়নের জন্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিজিবি-তে এসব জলযান সংযোজিত হয়েছে।
দেশের জলসীমান্তে অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম এসব জলযান বিজিবি’র সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।
দেশের নৌ সীমান্তে বিশেষ করে মিয়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুরে ও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জলসীমান্তে আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে এসব জলযান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্সপাওয়ারের তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম এবং এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নটিকাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার। এই জলযান সমূহ যেকোন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম এবং এতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম, চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস, আধুনিক সোনার সিস্টেম এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংযোজিত আছে।
বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সাথে ১৮০ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত এবং মিয়ানমারের সাথে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্তে এই জলযানের মাধ্যমে টহল জোরদার করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।